এগুলোর মধ্যে ৩২৪টি দাখিল মাদ্রাসা, ১১৯টি আলিম মাদ্রাসা, ৩৪টি ফাযিল মাদ্রাসা, ২২টি কামিল মাদ্রাসা, ৬০টি ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচার, ২১৮টি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) এবং ১৬০টি এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও কোড নির্ধারণ করে দিয়ে বুধবার আদেশ জারি করেছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
আগের দিন ১৬৩৩টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিও কোড বরাদ্দ দিয়ে আদেশ জারি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। এনিয়ে নতুন এমপিও পাওয়ায় ২৫৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দুই দফায় এমপিও কোড দেওয়া হল।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর ২৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিভুক্ত করে সরকার। ওইসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি বেতনের অংশ দিতে এমপিও কোড দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে সবশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।
এমপিও বা মান্থলি পেমেন্ট অর্ডারের তালিকাভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের বেতনের একটি অংশ সরকার থেকে পান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে এমপিও কোড বরাদ্দের আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে বেতন-ভাতা পাবেন।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিও কোড বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
কোড বরাদ্দ দিয়ে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এমপিওভুক্ত হওয়া কোনো প্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে সেই প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী, এমপিও কোড পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করতে হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে তাদের এমপিও কার্যকর করে সরকারি বেতন-ভাতা পাঠানো হবে।