মহামা’রী করো’না ভাই’রাসের কারণে নতুন পদ্ধতিতে লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে দেশকে। আজ রোববার (৭ জুন) থেকেই কিছু কিছু এলাকায় এটা কার্যকর করা শুরু হচ্ছে। রেড, ইয়েলো ও গ্রিন- এই তিন জোনে ভাগ করে রেড জোনের ব্যাপারে সর্বোচ্চ কড়াকড়ি আরোপ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। করো’না মোকাবেলায় দেশের যে বিশেষজ্ঞ কমিটি, তারা রেড জোনে ওষুধের দোকান ছাড়া অন্য সবকিছু বন্ধের সুপারিশ করেছেন। সরকারও তেমনটাই ভাবছে। ইতোমধ্যে দেশে প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় সাধারণ ছুটি থাকলেও মানুষকে সম্পূর্ণভাবে ঘরে রাখা যায়নি। এবার আটঘাট বেঁধে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জনগনকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে রেড জোনে ‘যে কোনো ব্যবস্থা’ নেবে পু’লিশ। এই জোনে বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে পারবে না, ভেতর থেকে কেউ বের হতে পারবে না।
করো’না প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য বলেন, শেষ সুযোগ হিসেবে এখনও আমাদের হাতে কিছু সময় আছে। করো’নার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে। আম’রা বেশকিছু পরাম’র্শ দিয়েছি- যেসব ওয়ার্ডে ৪০ জনের বেশি আ’ক্রান্ত সেটাকে রেড জোন ঘোষণা করা। রেড জোনে ওষুধের দোকান ছাড়া কিছু খোলা থাকবে না। কেউ মাস্ক না পরলে দৃষ্টান্তমূলক জ’রিমানা আদায় করতে হবে। এমন আরো কিছু পরাম’র্শ আছে, কর্তৃপক্ষ প্রায় সবগুলোর ব্যাপারেই ইতিবাচক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যেই একটি ‘করো’না মানচিত্র’ তুলে ধ’রা হয়েছে, যার মাধ্যমে আ’ক্রান্ত বিবেচনায় রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনের ভাগ করা হয়েছে দেশকে। ৫০ জে’লা ও ৪০০ উপজে’লাকে রেড জোন (পুরোপুরি লকডাউন) হিসেবে দেখানো হয়েছে। ইয়েলো জোন হিসেবে দেখানো হয়েছে ১৩ জে’লা ও ১৯ উপজে’লাকে, এসব এলাকায় আংশিক লকডাউন কার্যকর হবে। গ্রিন জোন (লকডাউন নয়) হিসেবে দেখানো হয়েছে ১ জে’লা ও ৭৫ উপজে’লাকে।